নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্বালানি সাশ্রয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই দিন বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান বলেছেন, গ্রীষ্মকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষগুলোতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গ্রীষ্ম চলে গেলে সেটা থাকবে না। এ ক্ষেত্রে বড় ধরণের সাশ্রয় না হলেও, একটু সাশ্রয় হবে।
অধ্যাপক সালাহউদ্দিনের মতে, শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে চিন্তা করলে দেখা যাবে গ্রামীণ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের ব্যবহার কম। শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবহার হয়। বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে এসি চলে না। হয়তো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই/একটা বিভাগের অতিরিক্ত আয় থাকায় এসি ব্যবহার করে।
এতে হয়তো কিছুটা সাশ্রয় হবে, কিন্তু ব্যাপক হবে বলে মনে করি না। তবে জ্বালানি সাশ্রয়ে বড় সহযোগিতা করবে, তেমন না। এমন কোনো তথ্য কিন্তু আমাদের কাছেও নেই। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এখন সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকায় জ্বালানি সাশ্রয়ে যে আয় হবে, তার চেয়েও ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে। কারণ, শিক্ষার যে ঘাটতি ছিল, তা কাটিয়ে উঠতে কষ্ট হবে। এতে সিলেবাস কমাতে হবে।
জ্বালানি সাশ্রয়ে অফিসের নতুন সূচির বিষয়ে অধ্যাপক সালাহউদ্দিন বলেন, সামগ্রিকভাবে আমি বিশ্বাস করি যে সিদ্ধান্তটি জ্বালানি শক্তি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে একটি প্রান্তিক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সরকারি পরিষেবার উৎপাদনশীলতা আরও হ্রাস করতে পারে। যা সাধারণত ‘ধীর’ বলে মনে করা হয়।